জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন

এক বিঘা সুপারি বাগান থেকে বছরে আয় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা

আবু বকর

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৬ই জুন ২০২১ ০৪:০৪:০৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কয়েক বছরে পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিকভাবে বেড়েছে সুপারির চাষ। গড়ে উঠেছে ছোট বড় কয়েক হাজার সুপারি বাগান।

অন্য ফসলের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চাষিদের আগ্রহ। এখানকার সুপারি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

পানের সঙ্গে সুপারি-চুন মিশিয়ে খিলি খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। বাঙালির বিয়ের অনুষ্ঠানে পান-সুপারি তো এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। পঞ্চগড়ে গড়ে উঠেছে ছোট বড় কয়েক হাজার সুপারি বাগান। দিন দিন বাড়ছে এই সংখ্যা।

চৈত্র থেকে জ্যৈষ্ঠ এই তিন মাস সুপারি তোলার মৌসুম। এসময় সাপ্তাহিক হাটগুলো ভরে ওঠে ছোট-বড় কাঁচা-পাকা সুপারিতে। বিক্রি হয় পণ ও কাহন হিসেবে। ২০ হালিতে হয় এক পণ আর ১৬ পণে এক কাহন। প্রতি পণ সুপারি আকার অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে ৩শ' টাকা থেকে ৫শ' টাকা পর্যন্ত।

এক চাষি বলেন, 'গতবছর করোনার কারণে আমরা সুপারির দাম কম পাইছি। এবার আল্লাহর রহমতে সুপারির দাম অনেক ভালো পাচ্ছি। অন্য ফসলের তুলনায় এই সুপারি থেকেই অনেক লাভ করা যায়। সেকারণে যে জায়গা আছে সব জায়গাতেই সুপারি গাছ লাগাচ্ছি।'

পঞ্চগড়ের সুপারি আকার ও মানে সেরা হওয়ায় চাহিদা ব্যাপক।  ঢাকা, রাজশাহী, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড় ব্যবসায়ী আসেন সুপারি কিনতে।

গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৮ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন।  এবার তা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, 'অল্প যত্ন নিলেই অন্যান্য ফসলের তুলনায় এটা অনেক ভালো ফলন হয়। এতে রিস্কও কম। তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় সুপারি চাষ করে মানুষ অনেক লাভবান হচ্ছেন।'

পঞ্চগড়ে এ বছর জেলায় ৪৪৫ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়েছে।

আরও পড়ুন