মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) অল স্টার ম্যাচে অংশ না নেওয়ায় ইন্টার মায়ামির দুই সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে, বাংলাদেশ সময় ২৭ জুলাই (রোববার ) সকালে এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে লিগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে ফ্লোরিডার দলটিকে।
এমএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় অল স্টার ম্যাচের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর চোটের মতো গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া নিজেকে সরিয়ে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। মেসি ও আলবা অল স্টার ম্যাচের প্রাথমিক দলে থাকলেও চোটগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও তারা ম্যাচটি থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন, যা এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) কলম্বাসের লোয়ার ডট কম ফিল্ডে অনুষ্ঠিত অল স্টার ম্যাচে এমএলএস অল স্টার একাদশ মেক্সিকোর লিগা এমএক্স একাদশকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে। সেই দলের জন্য ইন্টার মায়ামি থেকে শুধুমাত্র মেসি ও আলবাকেই নির্বাচন করা হয়েছিল, কিন্তু তারা কেউই ম্যাচে অংশগ্রহণ করেননি।
এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো আশা প্রকাশ করেছিলেন যে, তার দলের সেরা দুই তারকা হয়তো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন না। তিনি বলেছিলেন, "আমার দল চলতি মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে এবং এত বেশি সময় খেলায় মেসির মধ্যে কিছুটা অবসাদ দেখা গেছে, তবে আমাদের ভাগ্য ভালো মেসি আজ ফিরছে। আশা করি, সে দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে এবং আগামীকালকের ম্যাচে দুজনের ওপরই আমরা ভরসা রাখতে পারব।"
তবে কোচের এই আশাবাদ বেশিক্ষণ টেকেনি। তার সংবাদ সম্মেলনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এমএলএসের পক্ষ থেকে মেসি ও আলবার নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে, যা সিনসিনাটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে মায়ামির জন্য একটি বড় ধাক্কা।
উল্লেখ্য, এবারের এমএলএস মৌসুমে লিওনেল মেসি দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। তিনি এখন পর্যন্ত ১৭টি লিগ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৮টি গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে শীর্ষে আছেন এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১০টি গোল। এছাড়া তিনি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ছয়টি এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচেও দলের হয়ে অংশ নিয়েছেন।
ডিবিসি/জেআরওয়াই