বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

এখনও হদিস মেলেনি চট্টগ্রামে লুট হওয়া পুলিশের ১৯৫টি অস্ত্রের

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরীর বিভিন্ন থানা এবং পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া ১৯৫টি অস্ত্রের এখনও কোনো হদিস মেলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আশঙ্কা করছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পেশিশক্তি প্রদর্শনের কাজে এসব অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে। এমন শঙ্কার মধ্যেই নির্বাচনের জন্য বাহিনীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর চট্টগ্রাম মহানগরীর আটটি থানা ও ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে ৯৪৫টি এবং জেলার তিনটি থানা থেকে ২৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়। পরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মহানগরী থেকে ৭৮৫টি ও জেলা থেকে ১৯৭টি অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি ১৯৫টি অস্ত্রের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এসব অস্ত্র এখন সন্ত্রাসীদের হাতে এবং এগুলো হত্যা ও ডাকাতির মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

এর প্রমাণ হিসেবে পুলিশ দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। গত বছরের ২৯শে আগস্ট নগরীর কুয়াইশ এলাকায় মাসুদ ও আনিস নামে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুলির খোসা লুট হওয়া অস্ত্রের বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়া, গত তেসরা মার্চ সাতকানিয়ায় গণপিটুনিতে জামায়াতের দুই কর্মী নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেক নিহত হন। তাদের মরদেহের পাশে পাওয়া পিস্তলটি সিএমপির কোতোয়ালী থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ছিল।

 

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সানতু এবং সিএমপির উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাহমুদা বেগম অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন।

 

এদিকে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া ৭৬৪টি অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪৬টি বৈধ অস্ত্রের হদিস মিলছে না। এসব অস্ত্র কোথায় বা কার কাছে, সে তথ্যও প্রশাসনের কাছে নেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক প্রকাশ চন্দ্র রায় এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

লুট হওয়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে সরকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চড়া দামে এসব অস্ত্রের অনেকগুলো কিনে নিয়েছে এবং অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করছে।

 

ডিবিসি/আরএসএল

আরও পড়ুন