জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ডিএনএ তথ্য যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি এনআইডিতে স্থায়ী ঠিকানা দৃশ্যমান করা, ডাটাবেজে বাবা-মায়ের নাম ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ ও স্মার্টকার্ডে ব্যবহারেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় পরিচিতি যাচাই সেবা, সেবার প্রকৃতি, সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব সুপারিশ করে সেমিনারে অংশ নেয়া বক্তারা। সকাল পৌনে নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের আইডিইএ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের আয়োজনে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনার সার্ভারের গতি বাড়ানো, ই-কেওয়াইসি সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সর্বনিম্ন তিন বছরের চুক্তি ও প্রতি তিন বছর পরপর চুক্তির মেয়াদ নবায়ন প্রস্তাবসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মো. আহসান হাবিব খান। তিনি জানান, সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ই-কেওয়াইসি সেবা নিচ্ছে। আর এ সেবা থেকে অর্জিত অর্থ রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।তারা প্রত্যেকে এনআইডির গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য দেন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সেমিনারের ও আউটপুট বিষয়ে বর্ণনা করেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর।
জাতীয় পরিচিতি যাচাই সেবার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করেন ইটিআইর মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেন। এছাড়া ই-কেওয়াইসি সেবাগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান যাতে এনআইডি সেবা দিতে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। নির্বাচন কমিশন ও পার্টনারদের বিলিং সিস্টেম ম্যানুয়ালের পরিবর্তে অটোমেটেড করার পরামর্শ দেন বক্তারা।