সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠিত হতে যাচ্ছে। বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নয়, বরং নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি’র নেতৃত্বেই এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদসহ মোট ৯টি দল নিয়ে এই জোট গঠিত হচ্ছে।
নতুন কোনো রাজনৈতিক মেরুকরণ না হলে, আসছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এই জোট বড় দলগুলোর সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়বে। এরইমধ্যে দলগুলো কয়েক দফা বৈঠক করেছে এবং বেশকিছু বিষয় পাকাপোক্ত হয়েছে। অমীমাংসিত বিষয়গুলোও দ্রুত সমাধান হবে বলে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা আশা করছেন।
গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ করে। এরপর গুঞ্জন ওঠে দলটি বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ২০২০ সালে আত্মপ্রকাশ করা জামায়াতের সংস্কারপন্থি দল হিসেবে পরিচিত এবি পার্টির বিষয়েও গুঞ্জন ছিল যে তারা বিএনপির সঙ্গে জোটে যাচ্ছে।
তবে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানিয়েছেন, তারা বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে নয়, বরং এনসিপিসহ জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের নয়টি দল নিয়ে নতুন জোট গঠন করছেন। এ নিয়ে দুই দফা ফলপ্রসূ আলোচনাও হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, যে নয়টি দল একজোটে যাচ্ছে তার মধ্যে বাম ও প্রগতিশীল ঘরানার ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ রয়েছে। দলগুলো হলো- নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি এবং জেএসডি। এর বাইরে বাকি তিনটি দল হলো- এনসিপি, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ।
জোট গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমীন এবং গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূরসহ দলগুলোর নেতারা ক্যামেরার সামনে বিস্তারিত খোলাসা না করতে চাইলেও, জোট গঠনের বিষয়ে প্রায় সব দলই আশাবাদী।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ ভোটকেন্দ্রিক জোট গঠনের এই বিষয়টিকে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগবিহীন ভোটের মাঠে বড় দুই দল বলতে এখন বিএনপি আর জামায়াত। এই দুই দলের বাইরে নতুন এই জোট ভোট যুদ্ধে কতটা লড়াই করতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
ডিবিসি/পিআরএএন