টানা তিন হারের পর একটি ম্যাচ জিতে আবার হারল ব্রাজিল। বুধবার (১১ই সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্যারাগুয়ের কাছে ব্রাজিল ১-০ গোলে হারল।
৯০ মিনিটের খেলায় ব্রাজিল সবশেষ প্যারাগুয়ের কাছে হেরেছিল সেই ২০০৮ সালে। ক্যালেন্ডারের পাতায় ১৬ বছর পর এমন বাজে অবস্থান দেখল সেলেসাওরা। মাঝে কোপা আমেরিকায় দুই দফায় হারলেও সেটা ছিল টাইব্রেকারে।
র্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিল ৫ম আর প্যারাগুয়ের স্থান ৬২তম। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্যারাগুয়ে কোচ গুস্তাভো আলফারোর কৌশল ছিল পরিষ্কার। আগে ঘর সামলাও, এরপর আক্রমণ। কৌশল কাজে দিল ঠিকঠাক। মাত্র একদিন আগেই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার নিশ্চয়তা দেয়া ব্রাজিল এবার পড়লো লজ্জার এক হারের সামনে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের মুখ দেখল ব্রাজিল।
বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার আগে ব্রাজিলকে যে আগে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলা নিশ্চিত করতে হবে। সে লক্ষ্যে দরিভালের দল ভালো করতে পারছে কোথায়! এই হারের পর সেই সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও দরিভালকে দেখিয়ে কেউ কেউ বলতেও পারেন, গাছে কাঁঠাল দেখে গোঁফে তেল দেওয়ার আগে কাঁঠালটি পাড়ার যোগ্যতা রাখা জরুরি।
আসুনসিওনে প্যারাগুয়ে-ব্রাজিল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ চলার সময়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠছিল, ব্রাজিলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বাজে দল কি না? অথচ মাঠে ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, লুকাস পাকেতা, আলিসনের মতো ইউরোপ মাতানো তারকারা। রক্ষণে মার্কিনিওস, গ্যাব্রিয়েল, দানিলোরাও ইউরোপের রণাঙ্গনে পরীক্ষিত। কিন্তু ২০ মিনিটে ব্রাজিলের এই রক্ষণভাগকে মোটামুটি দর্শক বানিয়ে গোল করেছেন প্যারাগুয়ে মিডফিল্ডার দিয়েগো গোমেজ।
ব্রাজিলের রক্ষণ থেকে হেডে ক্লিয়ার করা বল বক্সের বাইরে একটু সামনে পেয়ে গিয়েছিলেন গোমেজ। একদম ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন! ব্রুনো গিমারেজ বেশ দূরত্ব বজায় রেখে তাঁকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেটি করা আর না করার মধ্যে আসলে তেমন কোনো পার্থক্য নেই! গোমেজ এই সুযোগে বলটি সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে লুকা মদরিচের মতো বুটের ডগা দিয়ে ট্রিভেল্লা শটে বল ব্রাজিলের জালে জড়ান। আলিসন ডাইভ দিয়েও বলটা ছুঁতে পর্যন্ত পারেননি। পোস্টে লেগে জালে আশ্রয় নিয়েছে।
২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এই হারে টেবিলের পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। এই ম্যাচসহ সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি চতুর্থ হার ব্রাজিলের। ৮ ম্যাচে তাদের ১০ পয়েন্ট।
ডিবিসি/কেএলডি