ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পেতে এবার মালয়েশিয়ার পেনাং শহর থেকে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাঁও গ্রামের প্রেমিক সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসেছেন মালয় তরুণী নূর আজীমা।
ঈদের পরদিন সোমবার নূর আজীমা সাইফুল ইসলামের বাড়িতে আসেন। সাইফুল দীঘলগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাইফুল ও আজিমার সম্মতিতে সাইফুলের বাড়িতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পারিবারিক সম্মতির জন্য নূর আজীমা সাথে করে তার খালা ও খালাতো বোনকে নিয়ে এসেছিলেন।
এ বিষয়ে সাইফুল বলেন, আমাদের অনেক দিনের পরিচয়। পরিচয়ের পর আমরা ২ বছর প্রেম করেছি। প্রেমের পর থেকেই সে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু মালয়শিয়ার সরকার থেকে অনুমতি নিতে আমাদের প্রায় ছয় মাস লেগেছে। বিয়ের অনুমতি পেয়ে আমরা একসাথেই মালয়েশিয়া থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছি। আমরা পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি। সে আমাকে বলেছে সে বাংলাদেশেই থাকবে। আমাদের পরিবারের সাথেই থাকবে। আমি আমার মনের মানুষ পেয়ে খুবই আনন্দিত।
সাইফুলের বড় ভাই সুমন আহমেদ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ব্যবসা করেন সাইফুল। ব্যবসার সুবাদে নূর আজীমার সাথে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারে কাছে জানালে আমরা সম্মতি দেই এবং নূর আজীমাকে দেশে আনার জন্য বলি।
এদিকে, বিদেশী বধূ পেয়ে খুশি সাইফুলের পরিবার ও এলাকাবাসী।