সিঙ্গাপুরের কাছে হেরে বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে গেল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার সমীকরণ। নিজ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে জয়ের বিকল্প নেই হামজা, সমিতদের। বাছাইপর্বের বাকি ম্যাচগুলোতেও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার জন্যও।
৪৭ বছর পর এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারানোয় সেই কঠিন পথটাকে আরো কঠিন করে তুলেছে।
এশিয়ান কাপের টিকিট কাটতে তৃতীয় রাউন্ডের যে খেলা চলছে সেখানে বাংলাদেশসহ ২৪টি দলকে ভাগ করা হয়েছে ৬ গ্রুপে। এই ৬ গ্রুপের চ্যাম্পিয়নরাই শুধু খেলবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে।
সি গ্রুপে বাংলাদেশের সাথে আছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। প্রথম ম্যাচে ভারতের মাটিতে ভারতকে রুখে দিয়েছিলো লাল-সবুজরা। সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ ম্যাচের আগে গ্রুপের সব দল ১ পয়েন্ট নিয়ে ছিল সমান সমান। কিন্তু মঙ্গলবার (১০ই জুন) বাংলাদেশের মত হারের মুখ দেখেছে ভারতও। আর বাংলাদেশের এক গোল শোধের সুবাদে, গ্রুপের তলানিতে পৌছে গেছে সুনীল ছেত্রীরা। তাই ভারতের বিদায় এখন অনেকটাই নিশ্চিত।
বাংলাদেশ এরই মাঝে দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছে। ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে হারটা ভোগাতে পারে হামজা, সোমদের। একঝাক প্রবাসী তরুণ ফুটবলারের সংযুক্তিতে অধরা স্বপ্নটাকে বাস্তবে পরিণত করা বেশ কঠিন হবে লাল সবুজদের জন্য।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ অক্টোবরে হংকংয়ের সাথে। ৫দিনের ব্যবধানে এই দলের সাথে হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে হামজারা। নভেম্বরে খেলতে আসবে ভারত। আর এপ্রিলে এই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আবারো সিঙ্গাপুরের সাথে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবেন জামাল, হামজারা।
২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে এই মুহূর্তে সব দলেরই বাকি আছে ৪টা করে ম্যাচ। দুই ম্যাচ জিতে এখন গ্রুপের শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুর। তাই টেবিলের টপে উঠতে পয়েন্টের মারপ্যাচ আর গোলের যোগ বিয়োগে যেতে না চাইলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে বাকি সবগুলো ম্যাচেই জিততে হবে কাবরেরার দলকে।
অক্টোবরের ম্যাচের আগে দলের খেলোয়াড়দের ছন্দের গাথুনীটা ঠিক করাই এখন হাভিয়ের কাবরেরার মূল চ্যালেঞ্জ। নয়তো সিঙ্গাপুরের ম্যাচের শেষে হামজা, মিতুলদের নতজানু বিষন্ন মুখটাই আবারো সঙ্গী হবে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য।
ডিবিসি/এনএসএফ