বাংলাদেশ, জাতীয়

এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার পর সতর্ক বিমান বাংলাদেশ

ডেস্ক প্রতিবেদন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৭ই জুন ২০২৫ ১০:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং-৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার পর বাংলাদেশে বিমানের প্রকৌশল বিভাগ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বহরে থাকা সকল ড্রিমলাইনারের গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমসমূহের মান যাচাই ও পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এ তথ্য জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় এ সংবাদ সস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ জানায়, বিমানের প্রকৌশল বিভাগ বিমানের সকল বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম- ইঞ্জিন ফুয়েল সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল, ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার, হাইড্রোলিক, এয়ার কন্ডিশনিং ও ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় টেস্ট এবং ইঞ্জিন পাওয়ার অ্যাসিউরেন্স চেক পরিচালনা করছে।

 

ভারতের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার তদন্ত শেষে নির্মাতা কোম্পানী বোয়িং কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত যেসকল নির্দেশনা দেয়া হবে, তা সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য বিমানের প্রকৌশল বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। 

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে মোট ৬টি বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বোয়িং-৭৮৭-৮ এবং ২টি বোয়িং-৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে চলাচল করে। এই উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে বিমানের প্রকৌশল বিভাগ এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স প্রোগ্রাম অনুসরণ করে। এই প্রোগ্রামে প্রতিটি মেইনটেন্যান্স টাস্ক, নির্ধারিত সময়সীমা এবং পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। এটি বোয়িং কোম্পানির মেইনটেন্যান্স প্ল্যানিং ডকুমেন্ট, টাইপ সার্টিফিকেট হোল্ডার এবং রেগুলেটরি রিকোয়্যারমেন্টের নির্দেশনা অনুসারে তৈরি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদিত।

 

বিমান জানায়, রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিটি ধাপ বোয়িং মেইনটেন্যান্স ম্যানুয়াল অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী কর্তৃক যাচাই শেষে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স ইউনিট কর্তৃক পরীক্ষা করা হয়।

 

এ ছাড়া বিমানের মেইন্টেন্যান্স কন্ট্রোল সেন্টার এবং কেন্দ্রীয় প্রকৌশল শাখা এয়ারক্রাফট ও ইঞ্জিন হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি উড়োজাহাজের অবস্থা সার্বক্ষণিক রিয়েল টাইমে পর্যবেক্ষণ করে, যাতে যেকোনো সম্ভাব্য ত্রুটির আগেই সতর্কবার্তা পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।
 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন