ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ওষুধের কথা জানাতে হবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এমন প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এছাড়া অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রাইব করা বন্ধে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম লিখতে হবে, এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন আভাস পাওয়া গেছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও লেখেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন আজ তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। এটা খুবই প্রত্যাশিত যে তারা এমন কিছু সুপারিশ করবেন যা বাস্তবায়ন করা গেলে স্বাস্থ্য বা খাতে মৌলিক কিছু পরিবর্তন আসবে এবং বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
সোমবার (৫ই মে) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। বেলা ১১টায় স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।
২০২৪ সালের ১৭ই নভেম্বর জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। আওয়ামী সরকারের পতনের পর নোবেল জয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একাধিক কমিশন গঠিত হয়। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি কমিশন তাদের সংস্কার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্যদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ডিবিসি/ রাসেল