অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বা জীবাণুর ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ হয়ে ওঠা ভবিষ্যতে করোনা মহামারির চেয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে বিশ্ব নেতাদের এ ব্যাপারে সর্তক করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (৪ঠা মে) সন্ধ্যায় ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স শীর্ষক সম্মেলনে ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এএমআর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাতটি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সেগুলো হলো-
১. এআরসির লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ, ব্যাপক মনিটরিং এবং প্রতিবেদন তৈরির ব্যবস্থা করা।
২. অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্তরে গাইডলাইন ও নীতিমালা উন্নত করা।
৩. কার্যকর ও ব্যাপক এএমআর নজরদারি এবং সক্ষমতা তৈরি নিশ্চিত করতে পরস্পরের মধ্যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও কারিগরি সহায়তা বিনিময় করা।
৪. প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মালিকানা ভাগাভাগির মাধ্যমে সাশ্রয়ীমূল্যের ও কার্যকর অ্যান্টিবায়েটিক এবং অন্যান্য মেডিকেল সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিত করা।
৫. স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে এএমআর-নির্দিষ্ট এবং এএমআর-সংবেদনশীল কাজের জন্য পর্যাপ্ত এবং টেকসই অর্থায়ন করা।
৬. সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে এএমআর প্রতিরোধে বিনিয়োগ করা।
৭. সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সাশ্রয়ী ও টেকসই সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মতো জনস্বাস্থ্য সংকট এরই মধ্যে তিন মিলিয়নের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে এই ‘ওষুধ প্রতিরোধী’ জীবাণু মহামারি বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ভয়ানক ক্ষতি করবে।