কক্সবাজারে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত বিএনপি নেতা রহিম উল্লাহ সিকদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত রোববার (১৩ই জুলাই) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নে তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিম উল্লাহ সিকদার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পানিরছড়া এলাকায় রহিম উল্লাহ সিকদারের চাচাতো ভাই জাহেদ সিকদারের ওপর হামলা চালায় জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে রহিম উল্লাহসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে রহিম উল্লাহ মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে এবং আহত আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই মঙ্গলবার সকালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবারের দাবি, একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ফাতেরঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং তার সহযোগী মিজানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, পূর্বের একটি মামলার জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত মিজানকে আটক করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে সকল হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ডিবিসি/জেআরওয়াই