কক্সবাজারে হিমছড়ি পয়েন্টের সমুদ্র সৈকতে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো বড় আকৃতির মৃত একটি তিমি মাছ। অন্তত ৪/৫ দিন আগে তিমিটির মৃত্যু হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
লকডাউনের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এখন জনশূণ্য। নির্জন এই সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে জোয়ারের পানির সাথে ভেসে আসে মৃত এ তিমিটি। কিন্তু ভাটার সময় তিমিটি সৈকতের বালিয়াড়িতে আটকে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিমি মাছটি অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট। এটির আনুমানিক ওজন ২ থেকে ৩ টন হতে পারে। তিমিটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে না পারলেও অন্তত ৪/৫ দিন আগে মারা যেতে পারে বলে ধারণা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের। তিমিটি পঁচে-গলে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুরে ভাটার সময় সমুদ্র সৈকতে বড় কিছু একটা আটকে যেতে দেখে তারা সেখানে যান। এসময় তারা বড় আকারের একটি মৃত তিমি দেখতে পেয়েছেন। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
এদিকে, সৈকতে মৃত তিমি ভেসে আসার খবরে হিমছড়ি এলাকার ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা। এদের কেউ কেউ প্রথমবাবের মত তিমি দেখতে গেছেন। আবার কেউ কেউ আগে এটির চেয়েও বড় আকারের তিমি দেখেছেন।
সেভ দ্যা নেচার অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তিমিটি মাছটির মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিমিটি প্লাস্টিক বর্জ্য খেয়ে মারা যেতে পারে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন-আল পারভেজ জানান, সৈকতে মৃত তিমি ভেসে আসার খবরে পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ ও মৎস্য অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। মাছটি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এখন সেটি অপসারণের কাজ চলছে।
এর আগে, সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে বিগত ১৯৯১ সালেও এটির চাইতে কয়েকগুন বড় একটি তিমি ভেসে এসেছিলো। গত বছর জুন মাসে লকডাউনের সময় টেকনাফের শামলাপুর সৈকতে ভেসে আসে একটি মৃত তিমির বাচ্চা।