বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

কক্সবাজার সৈকতে অভিযান, অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১২ই অক্টোবর ২০২৫ ০৬:৪৪:৩৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত প্রায় অর্ধশত দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১২ই অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। স্থাপনাগুলো ভাঙার জন্য একটি এক্সেভেটর ব্যবহার করা হয়।

 

এর আগে শনিবার (১১ই অক্টোবর) জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে এই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কক্সবাজারের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মো. আ. মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সৈকতের প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা থেকে সব ধরনের স্থাপনা উচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সৈকতের বালিয়াড়িতে নতুন করে নির্মিত স্থাপনা ১১ই অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরাতন স্থাপনাগুলো আগামী ১৬ই অক্টোবরের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

 

অভিযানে অংশ নেওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো অন্তত ৫০টি দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মালিকদের দুপুর ২টার মধ্যে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না করায় অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়।’

 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম জানান, প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে রোববার দুপুর পর্যন্ত স্থাপনাগুলো না সরানোয় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

 

অভিযোগ রয়েছে, গত এক বছরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন জনপ্রিয় পর্যটন স্পট, যেমন—সুগন্ধা, কলাতলী, হিমছড়ি ও ইনানীতে কয়েকশ অবৈধ দোকান ও স্থাপনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, গত মাসে সাবেক জেলা প্রশাসকের বদলির আদেশের পর শুধু সুগন্ধা পয়েন্টেই শতাধিক নতুন টংঘর নির্মাণ করা হয়।

 

উল্লেখ্য, সরকার ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করে। আইন অনুযায়ী, সৈকতের জোয়ার-ভাটার সীমা থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর আগেও গত বছরের ডিসেম্বর এবং ২০২৩ সালে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিল জেলা প্রশাসন।

 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন