চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা বেসরকারি ডিপোগামী আমদানি ও খালি কন্টেইনার এবং ফল বোঝাই রেফার কন্টেইনার নিয়ে বিপাকে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জট নিরসনে আমদানি পণ্যের কন্টেইনার দ্রুত খালাস নিতে শতভাগ স্টোর রেন্ট মওকুফের মতো পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ ও ঈদকে কেন্দ্র করে কনটেইনার জট এড়াতে ডিপোগামী চার হাজার ৯০৪ টিইইউ কন্টেইনার দ্রুত সরিয়ে নিতে স্টেকহোল্ডারদের চিঠি দেয়া হয়েছে।
কঠোর বিধিনিষেধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির হার সাধারণ দিনের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে। বন্দরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার টুয়েন্টি ইকুয়েভেলেন্ট ইউনিট বা টিইইউ ধারণ ক্ষমতার কন্টেইনার ছিল ৩২ হাজারের বেশি। পণ্য ডেলিভারী কমে যাওয়ায় কন্টেইনার জটের আশঙ্কা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব ওমর ফারুক মুঠোফোনে বলেন, 'বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার ও বন্দর ব্যবহারকারীকে চিঠি দিয়েছি। যারা রেফার কন্টেইনার হেন্ডেল করে বিশেষকরে ফ্রোজেন ফ্রুটস এসোসিয়েসন এদেরকেও জানিয়েছি। তারা যেন ফ্রী সমযের মধ্যে তাদের কন্টেইনার নিয়ে যায়।'
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ ঈদ পরবর্তী বাজারের কথা চিন্তা করে অনেক আমদানিকারক ফল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের কন্টেইনার খালাস না করে বন্দরের ইয়ার্ডে ফেলে রেখেছেন।
ফলমন্ডি মালিক সমিতির আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'আমরা কিন্তু প্রতিদিন মাল খালাস করতেছি। আমার জানা মতে পড়ে থাকার মত মাল আমাদের আমদানিকারকরা রাখে নাই।'
বন্দরের অপারেশনাল কাজে গতি আনতে অভ্যন্তরে থাকা কন্টেইনারগুলো জরুরী ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কন্টেইনার জটে না পড়তে বন্দর থেকে সব ধরনের আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার ১৯টি বেসরকারি ডিপোতে সরিয়ে নেয়ার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।