কর্মক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বে কাজের আগ্রহ হারান কর্মঠ কর্মীরা।
আপনার কি এমন একজন সহকর্মী আছে যে অফিসে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে? আপনার কর্মক্ষেত্রে এমন কেউ কি আছে যিনি অবিরামভাবে বসের দ্বারা প্রশংসিত হন? যিনি সমস্ত দুর্দান্ত প্রজেক্টের জন্য গো-টু ব্যক্তি?
তবে এটা কোন গোপন বিষয় নয় যে বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মধ্যে কাজের ক্ষেত্র সমান নয় এবং আপনি আপনার কর্মজীবনের কোনো এক সময়ে এই ধরণের পক্ষপাতিত্তের সম্মুখীন হতে পারেন। ছোট বা বড় সব অফিসেই পক্ষপাতিত্ব দেখা যায়। এর ফলে কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম ও সাফল্যের পারস্পরিক সম্পর্কে ঘাটতি দেখা দেয়। কাজের প্রতিও নিরুৎসাহিত হয়।
অনেক সময় দেখা যায় কর্মীরা তাদের কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ তারা জানে যে, তারা যতই কাজ করুক না কেন বসের প্রিয় ব্যাক্তিই যাবতীয় কাজের জন্য পুরস্কৃত হবে। তাই অনেক কর্মীই তাদের সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা করে না।
প্রত্যেকের সাথে সমান আচরণ না করে কর্মক্ষেত্রে যখন একজনকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় তখন অন্যান্য কর্মীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে এবং অনেক ক্ষেত্রে দলের ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোনও পরিচালক যখন কোনও কর্মীর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখায় তখন ভাল কিছু হয় না। অনর্থক কর্মচারীরা তাদের কৃতিত্বগুলি স্বীকৃত নয় বলে অনুভব করতে শুরু করে।
অনেক সময় দেখা যায় যোগ্য লোক পেছনে পড়ে যায় এবং অযোগ্য লোক দ্রুত এগিয়ে যায় একমাত্র অফিসের পক্ষপাতিত্বের কারণে। সেক্ষেত্রে অফিসের পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি কর্মীদের কাজের আগ্রহ কমে যায়। আপনার পছন্দের লোকেদের সাথে কাজ করতে চাওয়া ঠিক আছে, যতক্ষণ না এটি অন্যান্য কর্মীদের কাছে ন্যায়সঙ্গত হয়। মাঝে মাঝে নিয়োগকর্তা যোগ্য লোকদের হারাতে পারে, যদি কর্মীরা মনে করেন তাদের প্রতিভা কেউ দেখছে না।
কর্মক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব অফিসের ওয়াটার কুলারের মতোই সাধারণ, কিন্তু অনেক বেশি বিষাক্ত। কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি ব্যতীত কর্মক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব বেআইনি না হতে পারে, তবে এটি অবশ্যই কাজের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।