ভরা মৌসুমেও মেঘনার বুক ইলিশশূন্য। ঋণের দায়ে জর্জরিত আর হতাশায় নিমজ্জিত ভোলার জেলেরা শেষ পর্যন্ত সৃষ্টিকর্তার শরণাপন্ন হয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত ইলিশের আশায় আজ রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বৃষ্টির মধ্যেই মেঘনা নদীর তীরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেন তারা।
সাধারণত বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত মেঘনায় ইলিশের ঢল নামে। কিন্তু এ বছর মৌসুমের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও জেলেদের জালে রুপালি শস্যের দেখা নেই। দিনভর নদীতে জাল ফেলে খালি হাতে তীরে ফিরতে হচ্ছে তাদের। সামান্য যা মাছ পাওয়া যায়, তা দিয়ে ট্রলারের জ্বালানি খরচও উঠছে না। ফলে ধারদেনা করে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে আজ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মহাজনকান্দি চেয়ারম্যানঘাটে এক ব্যতিক্রমী দৃশ্য দেখা যায়। সকাল থেকে ৬০ জন আলেমকে নিয়ে নদীতে ইলিশের প্রাচুর্যের জন্য 'খতমে ইউনুস' পাঠ করানো হয়। পরে বিকেলে বোরহানউদ্দিনের পীর সাহেব মাওলানা মো. মুহিববুল্লাহর পরিচালনায় প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলেকে নিয়ে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ব্যবসায়ী মো. মিরন জানান, এখন আল্লাহই তাদের শেষ ভরসা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদীর পানিতে ঘোলাভাবকে দায়ী করছেন। তিনি জানান, নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠায় পানি ঘোলা হয়ে গেছে, যা ইলিশের আগমনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। তবে তিনি আশাবাদী, আগামী পূর্ণিমার সময় নদীর পানির ঘোলাভাব কমলে জেলেরা আবার ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা পেতে পারেন।
ডিবিসি/এফএইচআর