তিউনিসিয়ায় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের খবর দেখতে অস্বীকার করায় এক কারাবন্দীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রেসিডেন্টের খবর চলাকালে চ্যানেল পরিবর্তন করতে বলায় এবং অপমানসূচক মন্তব্য করায় তাকে এই সাজা দেওয়া হয়েছে।
বন্দীর আইনজীবী আদেল সায়ের জানান, প্রথমে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপ্রধানকে অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার রাজনৈতিক রং এড়াতে অভিযোগ পরিবর্তন করে 'জনসাধারণের শালীনতা লঙ্ঘন' করার অভিযোগ আনা হয়।
মানবাধিকার সংস্থা 'দ্য তিউনিসিয়ান লিগ ফর হিউম্যান রাইটস' এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ওই বন্দী তার সেলে টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের কার্যক্রম সম্পর্কিত খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এরপর তার এক সেলমেট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তদন্তের পর তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মানবাধিকার সংস্থাটি একে "বন্দীদের কণ্ঠরোধ করার নীতি" বলে অভিহিত করেছে, যা এখন জেলের ভেতরেও প্রসারিত হচ্ছে।
আইনজীবী আদেল সায়ের আরও জানান, তার মক্কেল একটি ভিন্ন মামলায় কারাগারে ছিলেন, যা থেকে তিনি সম্প্রতি অব্যাহতি পান। কিন্তু মুক্তির আগমুহূর্তে তার পরিবার এই নতুন সাজার কথা জানতে পারে।
সায়ের স্বীকার করেছেন যে, টিভিতে প্রেসিডেন্ট সাইদের ছবি দেখানোর সময় তার মক্কেল অপমানসূচক মন্তব্য করেন এবং চ্যানেল পরিবর্তন করতে বলেন। ওই ব্যক্তি ইতালি থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন এবং তিনি তার "জীবন নষ্ট করার" জন্য প্রেসিডেন্টকে দায়ী করেন। তার অভিযোগ, ইতালি থেকে তিউনিসীয় অভিবাসীদের নির্বাসনের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সাইদের করা একটি চুক্তির কারণেই তাকে দেশে ফিরতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ২০২১ সালে এক বিতর্কিত পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং তখন থেকে ডিক্রির মাধ্যমে দেশ শাসন করছেন।
তথ্যসূত্র ডন।
ডিবিসি/এমইউএ