বাঙালি নারীদের সবচেয়ে প্রিয় খাবারের তালিকায় সবার উপরেই থাকে ফুচকার নাম। অনেকেই টক আর ঝাল স্বাদের এই খাবার খেতে পছন্দ করেন। ফুচকা আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় খাদ্য; এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফুচকার আরেকটি নাম হলো গোলগাপ্পা। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সব জায়গাতেই এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।
মসলাদার খাবার ফুচকা খাওয়ার ধরন সব জায়গায় এক রকম নয়। বিভিন্ন জায়গায় এর তৈরির প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা দেখা যায়। কোথাও পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়। কোথাও আবার পেঁয়াজ দিয়ে ফুচকা তৈরি করা হয়। এছাড়া এর চাটনি তৈরির প্রক্রিয়াও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
সাধারণত পুদিনা পাতা, লেবু, তেঁতুল দিয়ে তৈরি করা হয় ফুচকার পানি। এর ভেতরে পুর হিসেবে থাকে আলু। বিভিন্ন সুস্বাদু মসলা দিয়ে মাখানো হয় সেই আলু। সাধারণত এটিই পুর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেকেই মিষ্টি পানি দেওয়া ফুচকা বেশি পছন্দ করেন। অর্থাৎ ফুচকার চাটনির সঙ্গে চিনিও মিশিয়ে দেওয়া হয়। ফুচকা তৈরির পর সেদ্ধ ডিম কুচি কুচি করে দেওয়া হয়। যারা বাড়তি ঝাল চান, তারাই অতিরিক্ত মরিচ কুচি যোগ করে নেন।
ফুচকার উৎপত্তি কোথায় হয়েছিল; এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সবার মনে। ভারতীয় রন্ধন বিশেষজ্ঞ কুরুশ দালাল মতে, উত্তর ভারতেই প্রথম প্রচলন হয়েছিল জনপ্রিয় এই মুখরোচক খাবারের। রাজ কচুরি থেকে বিবর্তিত হয়ে এই খাবার উৎপত্তি হয়েছে; এমনটাই বলেন তিনি।
বিংশ শতাব্দীতে ভারতের মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করেছিল। যার জন্য ধীরে ধীরে অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে এই খাবার। তবে ফুচকার স্বাদ সব জায়গায় এক রকম হয় না। প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষেরা তাদের নিজেদের পছন্দমতো স্বাদ নির্বাচন করে আর সেভাবেই তৈরি করা হয় এটি।
ডিবিসি/আরপিকে