বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

৫ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা পাওয়া গেছে।

শনিবার (২৭শে ডিসেম্বর) রাতে গণনা শেষে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ ৩ মাস ২৭ দিন পর শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ১৩টি দানবাক্স খোলা হয়।

 

দানবাক্সগুলো থেকে টাকা বের করে ৩৫টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনভর গণনা। দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা গণনার পর রাতে চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যায়। নগদ টাকা ছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকার পাওয়া গেছে। এছাড়া অনলাইনে অনুদান হিসেবে জমা পড়েছে আরও ১২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৩ টাকা।

 

টাকা গণনার কাজে অংশ নেন প্রায় ৬০০ জন। এর মধ্যে পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার তিন শতাধিক ছাত্র, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা, মসজিদের ৩৩ জন কর্মচারী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য ছিলেন। এর আগে চলতি বছরের ৩০শে আগস্ট ৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩২টি বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা।

 

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, বর্তমানে পাগলা মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমানো অর্থের পরিমাণ ১০৪ কোটি টাকা। মসজিদকেন্দ্রিক একটি ১০ তলাবিশিষ্ট আধুনিক ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৫ দশমিক ৫ একর জায়গার ওপর নির্মিতব্য এই কমপ্লেক্সে এতিমখানা, পাঠাগার, আইটি সেকশন, ক্যাফেটেরিয়া ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়া নকশা যাচাই-বাছাই করে একটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং দ্রুতই কাজ শুরু হবে।

 

পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন জানান, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে গণনা শেষে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দানবাক্স খোলার খবর পেয়ে উৎসুক জনতা মসজিদের আশপাশে ভিড় করেন। উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক এই মসজিদে নগদ অর্থ ছাড়াও মানুষ নিয়মিত হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুসহ নানা সামগ্রী দান করে থাকেন।
 

ডিবিসি/আরএসএল

আরও পড়ুন