কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর মেঘনা নদী থেকে রাকিব (২৭) নামের এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশ।
নিহত রাকিব বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের বন্দেরবাড়ি গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার (১৫ই আগস্ট), যখন ভৈরব উপজেলার লুন্দিয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ-থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১০ই আগস্ট বিকেলে রাকিব তার বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় তিনি ৫০০ টাকা সাথে নিয়েছিলেন। তিনি একই উপজেলার কুকরাই গ্রামের বন্ধু শাওনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও সেখানে পৌঁছাননি এবং এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য সকল স্থানে ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায়, তার ভাই রিয়াজ মিয়া ঘটনার চার দিন পর, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (১৪ই আগস্ট) বাজিতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। অবশেষে ভৈরবে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাকিবকে শনাক্ত করেন।
এই বিষয়ে ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। মরদেহের গলায় ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা বিশ্লেষণ করে এই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ আশা করছে।
ডিবিসি/জেআরওয়াই