কিশোরগঞ্জে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে।
গত এক বছরে তিনটি আলোচিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা। অভিযোগ উঠেছে, মদদদাতা ও রাজনীতিবিদরা এসব কিশোরদের ব্যবহার করছে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে।
একের পর এক সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও খুনের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে "কিশোর গ্যাং"। কিশোরগঞ্জ শহরে কলেজ ছাত্র রাজা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় কিশোর গ্যাং। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা ইউসুফ মণি এবং ব্যবসায়ী সাগর হত্যাকাণ্ডেও অংশ নেয় তারা।
২০১৮ সালের শেষ দিকে সংঘবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে আসে এক একটি দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং। মুখোশধারী সশস্ত্র কিশোর সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা ও অস্ত্র নিয়ে টহল দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
কিশোরগঞ্জ শহরে কিশোর অপরাধীদের এ রকম অন্তত ৩০/৩৫টি গ্যাং আছে। প্রতিটি গ্যাং-এ ৫০/৬০ জন সদস্য রয়েছে। গ্যাং সদস্যদের অধিকাংশই স্কুল কলেজের ছাত্র ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থী, বেকার ও শ্রমিক শ্রেণির কিশোর।
খেলাধূলা ও চিত্ত বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সেসঙ্গে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের অভাবকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
তবে, কিশোর গ্যাং অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এবং তাদের আটকে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।