রাজধানী

কী কী থাকতে পারে নির্বাচনের তফশিলে

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৫ই নভেম্বর ২০২৩ ১২:০১:১৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

২০২৪ সালের ২৯ শে জানুয়ারি শেষ হচ্ছে একাদশ সংসদের মেয়াদ। সংবিধান অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এজন্য পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তফসিলের মাধ্যমে জানা যাবে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠিক কবে অনুষ্ঠিত হবে। খবর: বিবিসি বাংলা।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হলে প্রায় ৫০ দিনের পার্থক্য থাকবে। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে।

কিন্তু তফসিল শুধুই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়। নির্বাচন সম্পর্কিত খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে সিদ্ধান্ত জড়িত থাকে তফসিলের সাথে। নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যেসব কাজকর্ম জড়িত রয়েছে তার সবকিছুর জন্যে একটি সময় বেঁধে দেওয়া হয় তফসিলে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বিবিসিকে বলেন, খুব সহজ ভাষায় তফসিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখের একটি আইনি ঘোষণা। যেমন প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতার মনোনয়নের কাগজ কত তারিখ জমা দেয়া শুরু করতে পারবেন সেটি ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, মনোনয়নের কাগজ নির্বাচন কমিশন কতদিনের মধ্যে বাছাই করবে, বাছাই প্রক্রিয়ায় যদি সেটি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে প্রার্থিতা প্রত্যাশী ব্যক্তি কতদিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে তার সময় বেঁধে দেয় কমিশন।

তিনি আরও বলেন, যারা প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন তাদের তালিকা কবে নাগাদ ছাপানো হবে, নির্বাচনী প্রচারণা কবে থেকে শুরু করা যাবে, আর কতদিন পর্যন্ত তা চালানো যাবে- সেটির উল্লেখ থাকে।

সাধারণত প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার সাথে প্রচারণা শুরুর তারিখ সম্পর্কিত থাকে। নির্বাচন কত তারিখ হবে, কোন সময়ে শুরু হবে, আর কোন সময় পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে, এত তার বিস্তারিত থাকে। এছাড়া ভোটের পর ভোট গণনা কিভাবে এবং কোথায় হবে তারও পরিষ্কার উল্লেখ থাকে। এই পুরো বিষয়টির সমষ্টিকেই নির্বাচনের তফসিল বলা হয়।

কিছু বিষয় সংবিধানে নিশ্চিত করে বলা আছে। সেগুলো নিয়ে আদৌ সিদ্ধান্ত নেয়ারই দরকার হয়না। যেমন সংবিধানে বলা আছে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

এই ৯০ দিনের মধ্যে কবে নির্বাচনের তারিখ সেটি ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশন চাইলে সংসদ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে দেয়া নির্বাচনের তারিখ বদলাতে পারে।

কমিশনারদের মধ্যে সেটি নিয়ে এবং নির্বাচনের তফসিলের অন্যান্য সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর বেশিরভাগ কমিশনার যে সিদ্ধান্ত দেয় সেটি গৃহীত হয়। এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য তারিখ পরিবর্তন করে দিতে পারে কমিশন।

সাধারণত তফসিলে যেসব কার্যক্রম দেয়া থাকে তা করার জন্য সবমিলিয়ে পুরো সময়কাল ৪৫ দিন হয়ে থাকে।

 

ডিবিসি/কেএমএল

আরও পড়ুন