ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গোয়েন্দা কুকুর ন্যান্সির শাবকের জন্ম দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটি। মেঘালয়ের তুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
সীমান্তে দায়িত্বরত কুকুরদের গর্ভবতী হওয়ার কথা নয়। কারণ, প্রত্যেকটি স্নিফার ডগের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা একজন হ্যান্ডলার থাকেন। এত কড়া পাহারার মধ্যে ল্যালসি কীভাবে গর্ভবতী হয়েছে, তা বের করতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছর ডিসেম্বরের শুরুতে। ৫ ডিসেম্বর বিএসএফের ৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নে ন্যান্সি নামে একটি স্নিফার ডগ ৩টশাবকের জন্ম দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে, শিলংয়ের বিএসএফের স্টেশন হেডকোয়ার্টার থেকে ‘কোট অফ ইনকোয়ারি’ নির্দেশ দেয়া হয়।
বিএসএফের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, ‘উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগগুলোকে ২৪ ঘণ্টা একজন হ্যান্ডলারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অন্য কুকুরদের সংস্পর্শে তাদের আসতে দেয়া হয় না। এদের প্রজননের সময় নির্দিষ্ট করা থাকে। অনুমোদনক্রমে একজন পশু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে স্নিফার ডগ বাচ্চা জন্ম দেয়। এ ক্ষেত্রে ন্যান্সি কীভাবে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে, তা খুবই আশ্চর্যের।’
নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ন্যান্সি গর্ভবতী হয়ে গেল। কিভাবে, কে সেই অর্বাচীন ন্যান্সির শাবকদের পিতা তা বের করতে কুকুরগুলির দেখাশোনা জন্য যে হ্যান্ডলার থাকে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানায় বিএসএফের কর্মকর্তা।
কিভাবে নিয়মের বাইরে গিয়ে ন্যান্সি প্রেম করল ও সন্তানের জননী হলো তা জানাটা বড় জরুরি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত বর্ডার পোস্টের।
সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানে বাধা দেয়ার বিশেষ দায়িত্ব দেয়া ছিল ন্যান্সির ওপর। বাংলাদেশ থেকে ইয়াবা আসে পশ্চিমবাংলায়। ন্যান্সি এই ইয়াবা ট্যাবলেট খুঁজে বের করার জন্য কাজ করত।