বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

কুমিল্লায় যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১৪ই জুলাই ২০২৫ ০১:৫৯:২৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্টেশন মাস্টারের ভুলে অপেক্ষামান যাত্রীদের রেখেই চলে গেল চট্টগ্রামগামী চট্টলা ট্রেন। এ ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

আজ সোমবার  কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে ঘটনাটি ঘটেছে। রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়, নাঙ্গলকোট স্টেশনের না থেমে ট্রেনটি পরবর্তী হাসানপুর স্টেশনে গিয়ে থামলে সেখানে যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে তাদেরকে পরবর্তীতে অপর একটি ট্রেনে করে আবারো তাদেরকে  নাঙ্গলকোট স্টেশনে পৌঁছে দেয়া হয়।  

 

বরখাস্তের নির্দেশনা প্রাপ্তরা হলেন- স্টেশন মাস্টার রূপন চন্দ্রশীল,  ট্রেন চালক আবির হোসেন, সহকারী চালক ও ট্রেনের গার্ড। তাদেরকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।  

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থেমে সিডিউল মোতাবেক যাত্রী উঠানামা করানোর কথা কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি পূর্ব নির্ধারিত স্টেশনে না থেমে মাস্টারের ভুল সিগনালের কারণে যাত্রী উঠানামা না করেই চলে যায়। এতে করে শত শত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এক পর্যায়ে স্টেশন মাস্টারকে ঘেরাও করে যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন। পরে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামিয়ে চট্টগ্রামের যাত্রীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

 

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত মাস্টারকে বলেছি ট্রেন চালানোর জন্য। তিনি ৮০২ চট্টলার স্থলে ৭০২ সুবর্ণ মনে করেন। তাই চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন নাঙ্গলকোটে থামেনি। কেবিন মাস্টারের বলার ভুলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। 

 

লাকসাম রেলওয়ের কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার বলেন, আমি ৮০২ চট্রলা ট্রেনের কাগজ লিখে দিয়েছি। ৭০২ সুবর্ণ ট্রেনের নাম আমি লিখি নাই। আমরা দু'জন মাস্টার ভুল করতে পারি কিন্তু ট্রেনের ড্রাইভার ভুল করতে পারেনা। সে তো স্টপেজ দিতে পারত। ট্রেনের গার্ডতো ভুল করতে পারেনা, সেও ব্রেক করতে পারতো।

 

কুমিল্লা রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার বলেন, দায়িত্ব অবহেলার কারণে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারসহ ৪ জনকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ডিবিসি/ এইচএপি

আরও পড়ুন