কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। তবে পানি কমছে ধীর গতিতে। এতে বানভাসি মানুষের ভোগান্তি রয়েই গেছে। এখনও অনেকের বাড়িতে পানি রয়েছে। অনেকেই পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার কথাও জানাচ্ছেন।
এদিকে পানি কমতে থাকায় বিধ্বস্ত বাড়ি ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বানভাসি মানুষজন। দেখা দিচ্ছে তীব্র পানি সংঙ্কট। এদিকে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙা অংশে সকালেও পানি বের হতে দেখা যায়। তবে গোমতী নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
এছাড়া প্লাবিত কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাঞ্চল লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানি কমে পরিস্থিতি আরও উন্নত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে জেলায় ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছিল। ৭২৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। যাদের বেশিরভাগ এখন বাড়ি ঘরে ফিরে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন থেকে ৩৯ লাখ নগদ টাকা ও ৮০০ মেট্টিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থানা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলায় ১৬ শ মেট্রকটন চল নদগ ২৫ লাখ টাকা বরাদ দেয়া হয়।
এদিকে কুমিল্লায় পর্যাপ্ত ত্রাণ এসেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণগুলো দুর্গতদের মাঝে এখনও পৌঁছে দিচ্ছেন।
ডিবিসি/এসএইচ