কুমিল্লার মুরাদনগর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আসিফ মাহমুদের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ও মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন।
এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এনসিপির ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত হন এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছে।
আহত ইউপি সদস্য শেখর বলেন, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা পাঠিয়ে দেন এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করেন।
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মিনাজুল হক বলেন, তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইট পাটকেল ছুঁড়ে আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়। এছাড়া মেম্বারের অবস্থা গুরুতর।
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন, আজকে মুরাদ নগরের সদরে এনসিপির সমর্থনের একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল এ সময় পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক বিনে উস্কানিতে ঈদ পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন এরপরে বিপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। তবে এনসিপির সমর্থকদের অর্ধ শতাধিক আহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এছাড়াও কারা এ হামলার সাথে ইন্ধনদাতা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
ডিবিসি/ এইচএপি