নতুন বোরো ধান বাজারে আসায় কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের চালের দাম। সরু চাল কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। তবে দাম কমার কোনো সুফলই পাচ্ছেন না খুচরা পর্যায়ের ভোক্তা। কারণ তারা বাজারে নতুন চাল পাচ্ছেন না।
চালকল মালিক সমিতি বলছে, ব্যবসায়ীদের কাছে পুরাতন চাল মজুত থাকায় তারা নতুন চাল নিচ্ছে না। এজন্য বেশি দামে পুরাতন চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
নতুন বোরো ধান বাজারে আসার পর, তিন মাস ধরে লাগামহীন ছুটতে থাকা চালের দামে লাগাম পড়েছে। কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। কিন্তু এর সুবিধা পাচ্ছেন না খুচরা পর্যায়ে গ্রাহক। প্রতিটি মিলেই গাড়ী বোঝাই ধান আসছে। তৈরি হচ্ছে নতুন চাল।
চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন সরু ধান তারা কিনছেন ১৫০০ টাকা মণ। সেই ধানের চাল মানভেদে অটো মিলগুলোতে সব খরচ মিলিয়ে দাম পড়ছে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা।
ছোট ম্যানুয়াল হাসকিং মিল মালিকরা বলছেন, অটো মিলের তুলনায় হাসকিং মিলের চাল আরও কমে বিক্রি হচ্ছে।
মিলগেটে দাম কমলেও খোলা বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। কারণ ব্যবসায়ীরা এখনো পুরাতন চাল বিক্রি করছেন।
এদিকে কম দামে নতুন চাল না পেয়ে মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতি ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। চালকল মালিক সমিতি বলছে, সারা দেশে ব্যবসায়ীদের কাছে এখনো পুরাতন চাল মজুত রয়েছে। তারা নতুন চাল না কেনায় দাম কমার সুবিধা পাচ্ছে না ক্রেতা।
কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন প্রধান জানান, নতুন সরু চালের দাম ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজি। তবে খোলা বাজারে এখনো পুরাতন সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি।
ডিবিসি/ এইচএপি