শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের যতিন্দ্র নারায়ণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পুলিশ নিহতের বাড়ির পশ্চিম পাশের ভুট্টাখেত থেকে ঘাতক ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করে।

ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের কাজ চলছে।’

স্থানীয়রা জানান, আকবর আলীর তিন ছেলের মধ্যে সাজেদুল অনেকদিন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। আকবর আলী তার অনেক চিকিৎসা করালেও সে সুস্থ হয়নি। এ কারণে তার স্ত্রীও চলে গেছেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সংসারের সকল কাজকর্ম করেন সাজেদুল। গেল রাতে ভুট্টাখেতে পানি দিয়ে সকালে বাড়ি ফেরেন তিনি। এসময় বাবা আকবর আলী তাকে খাওয়াদাওয়া করে আবারও ভুট্টাখেতে পানি দেয়ার জন্য যেতে বলেন। কিন্তু ভাত খাওয়ার জন্য রান্নাঘরে গিয়ে সাজেদুল দেখতে পান রান্নাঘরে ভাত নেই। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে মা সাহেরা বেগমকে আঘাত করেন। স্ত্রীকে বাঁচাতে আকবর আলী এগিয়ে এলে সাজেদুল ওই ছুরি তার বাবার পেটে ঢুকিয়ে দেন। এসময় ছুরির আঘাতে স্বামী-স্ত্রী গুরুতর আহত হন।

পরে আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বিকেল চারটার দিকে আকবর আলী মারা যান। স্ত্রী সাহেরা বানু গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক সাজেদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ডিবিসি/ এসএইচ