চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানী চিনিকলের এক কর্মচারীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে পদাবনতি করে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে বদলির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওই কর্মচারীর নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি গত (১৯শে এপ্রিল) কেরু কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৬ কর্মকর্তার নামে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেছেন। রিটের প্রেক্ষিতে গত (৮ই মে) কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নোটিশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রিটে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চিফ অব পার্সোনাল ও ঠাকুরগাঁও চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৪ই মে কেরু অ্যান্ড কোম্পানী লিমিটেডে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী (সিডিএ) পদে যোগদান করেন চুয়াডাঙ্গা সদরের ছোটশলুয়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন। এরপর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারী হিসেবে কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ডিস্টিলারি বিভাগে দায়িত্ব গ্রহন করেন তিনি। তার যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অফিস সহকারি থেকে অফিস সহকারি পদে ডিস্টিলারি বিভাগের ফরেন লিকার বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এরপর টানা ১০ বছর ওই পদেই চাকরি করা অবস্থায় ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বরে ১১তম গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে তার বেতন নির্ধারন হয়।
এরমধ্যে গত ১৯শে এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের এক পত্রের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে বদলির আদেশ পান আব্দুল্লাহ আল মামুন। কিন্তু তাকে অফিস সহকারি পদে বদলি না করে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী (সিডিএ) পদ উল্লেখ করে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। যা প্রকৃত পদের ৩ ধাপ নিচে।
রিটকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমি সিডিএ পদে কেরু চিনিকলে যোগদান করার পর যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সহকারি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। এমনকি বদলির আগের মাসেও অফিস সহকারি হিসেবেই আমি বেতন উত্তোলন করেছি। এরমধ্যে এক বদলির আদেশে আমাকে পদাবনতি করে সিডিএ উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে বদলি করা হয়েছে। যা পুরোপুরি নিয়মবহির্ভূতভাবে করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেরু অ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান, নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন থেকে ওই কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। যা নিয়ম মেনেই হয়েছে।
ডিবিসি/নাসিফ