ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, কাতারে অনুষ্ঠিত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার পরোক্ষ যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রথম দফা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে।
সোমবার ভোরে দুজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের কাছে হামাসের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর মতো যথেষ্ট ক্ষমতা বা ম্যান্ডেট ছিল না।
এই আলোচনা পুনরায় শুরু হয় রবিবার। এর কিছুদিন পরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর এটি হবে নেতানিয়াহুর তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর।
আলোচনা সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, "দোহায় পরোক্ষ আলোচনার প্রথম অধিবেশনের পর এটি স্পষ্ট যে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলকে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য যথেষ্ট বা প্রকৃত ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।"
এই বৈঠকের আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন যে, হামাসের সর্বশেষ দাবিগুলো ইসরায়েলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তা সত্ত্বেও, তিনি দোহায় একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার দল পাঠান।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সপ্তাহে একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তি হওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। সোমবার (৭ই জুলাই) হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার বৈঠকে এই বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণে এ পর্যন্ত ৫৭,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংঘাতে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং গাজার অধিকাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
তথ্যসূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
ডিবিসি/এমইউএ