বাংলাদেশ, জাতীয়, রাজনীতি

কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে আইন করা হবে না, থাকলে বাতিল করা হবে: সালাহউদ্দিন আহমদ

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

৪ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করা হবে না এবং অতীতে এমন কোনো আইন করা হয়ে থাকলে তা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

রোববার (২৩শে নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদ’ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করেছিলেন, যা বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছিল। তিনি এই নীতি পুনরায় সংবিধানে পুনর্বহাল করার ঘোষণা দেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ‘মদিনার ইসলামে’ বিশ্বাসী এবং দেশে সব ধরনের ফিরকা-ফেতনার অবসান চায়। তবে মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক বিতর্ক ও দুনিয়াবি কার্যক্রমের ঊর্ধ্বে রাখার জন্য তিনি ইমাম ও খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

আলেমদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ও প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে গ্রেপ্তার করা যায় না। বিগত সরকার আলেমবিদ্বেষী ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, আগে দাড়ি-টুপি দেখলেই জঙ্গি সাজানোর নাটক করা হতো। দেশে এখন গণতান্ত্রিক নবযাত্রা শুরু হয়েছে, তাই আইনকানুনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে বেআইনি কাজ করতে দেওয়া হবে না।

 

সম্মেলনে মাওলানা আজহারুল ইসলাম ইমাম ও খতিবদের পক্ষে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সব ধর্মের প্রতি সহিষ্ণু হয়ে ইসলামি শরিয়াহকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা, মসজিদ-মাদ্রাসার বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করা এবং ইমামদের জন্য সার্ভিস রুল ও নিয়োগবিধি প্রণয়ন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে ইমামদের সম্পৃক্ত করা, বিনা প্রমাণে হয়রানি বন্ধ করা, সরকারি চাকরিতে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং সমাজ সংস্কারমূলক কাজের জন্য ইমামদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ভাতার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।

 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি ও হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিবসহ বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

 

ডিবিসি/এনএসএফ

আরও পড়ুন