চট্টগ্রাম টেস্টে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মিরাজের ১০৩ রানের উপর ভর করে বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে সাদা পোশাকেও নিজের জাত চেনালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বোলিংয়ে ধারাবহিক হলেও ব্যাটিংয়ে কেমন অচেনা ছিলেন এই অলরাউন্ডার। এবার তা করে দেখালেন। চট্টগ্রাম টেস্টে ৮এ নেমে ১৩ বাউন্ডারিতে ১৬০ বলে মিরাজের শতক। তার ইনিংস থামে ১০৩ রানে।
ঠিক ৪ বছর তিন মাস ১৪ দিন আগের কথা। এই ভেন্যুতেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। সেদিনের সেই বিস্ময় বালক সেরে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের আরাধ্য সেঞ্চুরি। এ যেন একদিন স্বপ্নের দিন।
চট্টগ্রাম টেস্টের ২য় দিন, ৯৩তম ওভারে স্ট্যাম্প হারান লিটন। ৮ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এলেন মেহেদী মিরাজ। সাকিবের সাথে ৬৭ রানের জুটিতে মিরাজের উইলো থেকে আসে ৭৭ বলে ৩৮ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর তাইজুলের সাথে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। দলীয় ৩৫৯ রানে তাইজুলও সাজঘরে। সেঞ্চুরি থেকে ৪০ রান দুরে মিরাজ।
নবম উইকেট জুটিতে মিরাজের সঙ্গী লোকাল বয় নাঈম হাসান, ৫৭ রানের এই জুটিতে নার্ভাস নাইনটির ঘরে টাইগার অল রাউন্ডার। তবে নাঈমও বাই বলায় বেড়ে যায় সাগরিকার হৃদকম্পন। কেননা আর বাকি মুস্তাফিজ।
ইনিংসের ১৪৮তম ওভারের চতুর্থ বল হাতে ওয়ারিক্যান, নার্ভাস নাইনটিনাইনে মিরাজ। প্যাডেল সুইপের দু:সাহস, ভাগ্য কথা বললো সাহসীর পক্ষেই। নিজের ২৩তম টেস্টে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে মেহেদী মিরোজ।
২১তম টাইগার হিসেবে টেস্ট সেঞ্চুরি টালি খাতায় মিরাজ। আর আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতক হাকানো চতুর্থ টাইগার তিনি। এর আগে এমন কীর্তি আছে পাইলট, রিয়াদ আর সোহাগ গাজীর।
সাদা পোষাকে ৪৩ ইনিংসে দুই হাফ সেঞ্চুরি আর এক সেঞ্চুরিতে মিরাজের রান ৭৪১।