মুশফিকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ২০০৫ সালে। দলের ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে ইংল্যান্ডের সেই সফরে ১৭ বছর বয়সে প্রস্তুতি ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে ৬৩ রানের ইনিংস, এরপর নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন।
 

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। তার পরের বছর ৬ আগস্ট হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়। এর পরেই মুশফিক বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন।
 

২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তার অধীন বাংলাদেশ টেস্টে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার মতো পরাশক্তিদের। প্রথমবারের মতো খেলেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে। সব মিলিয়ে ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক।
 

এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে ৮৮টি টেস্ট খেলেছেন মুশফিক। দেশের ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিক মোট ১০টি সেঞ্চুরি ও ২৭ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৫৬৭৬, যা তাকে রেখেছে বাংলাদেশের টেস্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় শীর্ষে।
 

এদিকে, ২৭১ ওয়ানডে খেলে ৭৭৯২ রান করেছেন তিনি। যার মধ্যে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি অর্ধশতক রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় সর্বাধিক রান সংগ্রাহক তিনি। তার ওপরে রয়েছেন সাকিব ও তামিম। আর টি-টোয়েন্টিতে ১০২ ম্যাচ খেলে ১৫০০ রান করেন এই ক্রিকেট তারকা। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।

ডিবিসি/আরপিকে