মুস্তাফিজুর রহমান। যাকে আমরা সবাই কাটার মুস্তাফিজ নামে চিনি। সেই ফিজ এর জন্মদিন আজ। ২৮ পেরিয়ে ২৯ এ পা রাখলেন তিনি। ১৯৯৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের এ তারকা ক্রিকেটার।
সাতক্ষীরা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কালীগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে মুস্তাফিজের বাড়ি। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্র্রদর্শন করায় ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল সফরকারী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলে ডাক পড়ে তার। মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত বোলিং করে শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট তুলে নেন তিনি। বাংলাদেশ দল প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।
এর দুইমাস পর ১৯ জুন সফরকারী ভারতের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে মোস্তাফিজের। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৫ উইকেট লাভ করেন এবং ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তারপর ২১ জুনও ভারতের বিপক্ষে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। জীবনের প্রথম দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন।
টেস্টেও দ্রুত সাফল্য পেয়ে যান মুস্তাফিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে বাঁহাতের জাদু দেখিয়ে হন ম্যাচসেরা। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডে ও টেস্ট- দুই ফরম্যাটের অভিষেকেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
২০১৯ সালে এপ্রিলে তিনি ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত হন। বাংলাদেশের সপ্তম ম্যাচে তিনি ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। এর ফলে সাকিব আল হাসানের পর তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। ৫ জুলাই তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্বের চতুর্থ দ্রুততম এবং বাংলাদেশের দ্রুততম বোলার হিসেবে (৫৪ ম্যাচে) ১০০ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তিনি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার করেন। তিনি আট ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্কের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে বিশ্বকাপ সমাপ্ত করেন।
২০১৯ সালের ২২ মার্চ তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এছাড়া ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আইপিএলে তিনি ‘সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ’ দলে খেলছেন। ২০১৫ সালে আইসিসি বর্ষসেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হন। ওডিআই অভিষেকে বিশ্বের ১০ম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট পান। বিশ্বের ৪র্থ বোলার হিসেবে প্রথম দুই ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার পান।
ডিবিসি/আরপিকে