শুক্রবার (৩ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৪০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ৪০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৪০০ ম্যাচ খেলার নজির গড়েন মুশফিকুর রহিম।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের আগে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ৩৯৯ ম্যাচে ১৩ হাজার ৪৫৩ রান এবং ৬৫৪ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ৪২৭ ম্যাচে ১৩ হাজার ৬৫২ রান করেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিক। ৪৫৪টি ডিসমিসাল আছে মুশির।

মুশফিক গতকাল ৪২৭তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। এটি মুশফিকের ২৪১তম ওয়ানডে। এছাড়া ৮৪ টেস্ট এবং ১০২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। অন্যদিকে সাকিব খেলেছেন ২২৬তম ওয়ানডে। এছাড়া দেশের হয়ে ৬৫ টেস্ট এবং ১০৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

দেশের হয়ে ম্যাচ খেলার হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন ৩৮৮টি। ৫০টি টেস্ট, ২১৭ ওয়ানডে আর ১২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়ে গেছে তার। ওয়ানডেতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন ৩৭৯টি। টেস্ট ৬৯, ওয়ানডে ২৩২ এবং টি-টোয়েন্টি ৭৮টি তার নামের পাশে।

২০০৬ সালে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অভিষেকের পরই নিজের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন মিস্টার সেভেন্টিফাইভ। রেকর্ডের বরপুত্র সাকিবের সামনে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়ারও সুযোগ রয়েছে।

বল হাতে আর ৪ উইকেট নিলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৩০০ ওয়ানডে উইকেটের মালিক হবেন সাকিব। সব মিলিয়ে মাত্র ১৩ বোলার ওয়ানডেতে ৩০০ বা তার বেশি উইকেট শিকার করেছেন।

এছাড়াও আরেকটি মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষায় ব্যাটার সাকিব। আর মাত্র ১৩৫ রান করলেই (দ্বিতীয় ওয়ানডের রান যুক্ত করা হয়নি) বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান স্পর্শ করবেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে ৮ হাজার ৭৪ রান নিয়ে সবার ওপরে রয়েছেন তামিম ইকবাল।