বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ

কয়েক মাসেই বেহাল পটুয়াখালীর গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের বাড়ি

কাজী শাহরিন হক

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৮শে ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বরাদ্দ দেয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই পটুয়াখালীতে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে বাড়িগুলোর দশা বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়া নলকূপে ঠিকমতো পানি না ওঠাসহ রয়েছে নানা সমস্যা।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালী সদরের চর বলইকাঠীতে ৪০টি, আউলিয়াপুরের পঁচাকোড়ালিয়ায় ৪০টি, দক্ষিণ সেহাকাঠীতে ৪০টি এবং ছোটবিঘাই এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করে প্রশাসন।  চলতি বছর এসব ঘর হস্তান্ত করা হয় বাসিন্দাদের কাছে।  কিন্তু কয়েকমাস যেতে না যেতেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে প্রকল্পের ১৭০টি বাড়ি।

নলকূপে ঠিকমতো পানি উঠছে না। আশপাশে কোনো পুকুর না থাকায় খাবার পানির নিয়ে বিপাকে বাসিন্দারা। টয়লেটগুলোর অবস্থাও বেহাল।

দুই কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের কোন সুফলই পাচ্ছেন না এখানকার বাসিন্দারা।

বাসিন্দারা জানান, ঘরগুলোর দরজাগুলো যথেষ্ট মজবুত না, আর কোনো ঘরের সঙ্গেই রান্নাঘর নেই।  নলকূপগুলো গভীর না হওয়ায় সেই পানিও পরিষ্কার না। আশেপাশে কোনো দোকানপাট, স্কুলও নেই। 

তবে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের দাবি, ঘর নির্মাণে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি।

অন্যদিকে, একই ধরনের সরকারি কর্মসূচি আবাসন ও আশ্রয়ন প্রকল্পে পুকুর,কমিউনিটি সেন্টার ও বিদ্যালয় সুবিধা থাকলেও, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে সেগুলোর একটাও নেই।  প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো থাকা দরকার বলে মনে করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার লতিফা জান্নাতি বলেন, "যদি তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়, অথবা নলকূপে পানি না ওঠে, অথবা বিদ্যুতের সংযোগ না থাকে, তাহলে আমাদের কাছে যদি কেউ রিপোর্ট করে আমরা সেটা ঠিক করে দেয়ার ব্যবস্থা করি।"

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম চৌধুরী বললেন, প্রকল্পে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুবিধাবঞ্চিত, ছিন্নমুল পরিবারগুলো, সব ধরনের নাগরিক সুবিধাসহ গুচ্ছগ্রামে বসাবাস করবে, এমনটাই প্রত্যাশা পটুয়াখালীবাসীর।

আরও পড়ুন