দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের 'ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা' এক্সপ্রেস হাইওয়ে খুলে দেয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। স্বপ্নের ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের অপেক্ষায় দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মূল সড়কে থাকছে চারটি লেন। সড়কের দুই পাশে থাকছে আরও দুটি সার্ভিস লেন। ছোট-বড় ৩১টি সেতুর পাশাপাশি থাকছে ৪৫টি কালভার্ট, ছয়টি ফ্লাইওভার ও চারটি রেল ওভারপাসসহ আধুনিক নানান সুবিধা।
ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে আগে লাগতো কয়েক ঘণ্টা। এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন হলে, ফেরি বাদে সময় লাগবে মাত্র ৪২ মিনিট। আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার যেতে লাগবে ২৭ মিনিট। তবে এর পুরো সুফল পাওয়া যাবে পদ্মা সেতু চালুর পর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, "সে প্রকল্পে এই অঞ্চলসহ সারা দেশের উন্নয়ন হবে; দেশের জিডিপিও বাড়বে। সর্বোপরি বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।"
ছয় লেনের এই এক্সপ্রেস হাইওয়ে ব্যবহার করতে টোল দিতে হবে সব ধরনের যানবাহনকে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ১১ হাজার ৩ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই হাইওয়ে নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বিভাগ।