খুলনায় এনসিপির সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় আহ্বায়ক মোতালেব সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মূল শুটার শীর্ষ সন্ত্রাসী ডি.কে শামীম ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মাদক সরবরাহ ও টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মোতালেবকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই গুলি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
শনিবার (২৭শে ডিসেম্বর) র্যাব-৬ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৬-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নাজমুল ইসলাম।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে র্যাব-৬-এর স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক দল নগরীর বসুপাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মোতালেব সিকদারকে গুলি নিক্ষেপকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ডি.কে শামীম ওরফে ঢাকাইয়া শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে শামীমের সহযোগী মাহাদিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম স্বীকার করেছেন যে, তিনি নিজেই হত্যার উদ্দেশ্যে মোতালেবের মাথায় গুলি করেছিলেন। গ্রেপ্তার ডি.কে শামীমের বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ঘটনার কারণ সম্পর্কে র্যাব জানায়, যে বাড়িতে গুলির ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে নিয়মিত মাদকের লেনদেন ও সেবন চলত। ঘটনাস্থলে তন্বী নামে এক নারীও উপস্থিত ছিলেন। মূলত চাহিদা অনুযায়ী মাদক সরবরাহ করতে না পারা এবং মাদকের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মোতালেবকে গুলি করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২শে ডিসেম্বর নগরীর আল আকসা মসজিদ গলির ‘মুক্তা হাউজ’ নামক বাসার নিচতলায় অবস্থানকালে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন সন্ত্রাসী মোতালেব সিকদারকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রহিমা আক্তার বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এর আগে তন্বী নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছিল। র্যাবের অভিযানের পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিবিসি/আরএসএল