জাতীয়, জেলার সংবাদ

খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রতীক পেলেন মেয়র প্রার্থীরা

ডেস্ক প্রতিবেদন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৬শে মে ২০২৩ ১২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মৌখিকসহ নানা আঙ্গিকে নির্বাচনী প্রচরণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। আজ থেকে প্রতীক নিয়ে মাঠে নামছেন তারা। চার মেয়র প্রার্থী পেলেন প্রতীক। এখন থেকে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, আসন্ন খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে মেয়র পদের ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদের ১২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে আপিল করে মেয়র পদের একজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদের চারজন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের দুজন মনোনয়নপত্র ফিরে পান।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন জানান, মোট ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বর্তমানে ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

তিনি আরও বলেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯ কেন্দ্র ও ১ হাজার ৭৩২ ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে। কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

কে কোন প্রতীক পেলেন: আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল খালেক নৌকা, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল আউয়াল হাতপাখা ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন গোলাপ ফুল প্রতীকে ভোটের লড়াই করবেন।


জানা যায়, এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬। এবারের নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কেসিসির ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ ও ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

কেএমপি জানায়, সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ৩ হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেএমপি দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ভোটার সংখ্যা, প্রার্থীর বাড়ি সংলগ্ন কেন্দ্র, প্রভাব বিস্তার, যাতায়াতসহ বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সাধারণ কেন্দ্রে থাকবেন ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন করে আনসার সদস্য। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এটি কমবেশি হতে পারে।

আরও পড়ুন