খোলা বাজারের তুলনায় মোড়কজাত হলেই মসলার দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ। বাজারে প্রতি কেজি আস্ত জিরার দাম ৬২০ টাকা এবং খোলা জিরা গুঁড়োর দাম ৯৫০ টাকা। অথচ, একই জিরা গুঁড়ো নামি-দামি কোম্পানির মোড়কে ঢোকার পর বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি দেড় হাজার টাকায়। ভোক্তাদের অভিযোগ, খোলা পণ্যের মানের ওপর আস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে মোড়কজাত পণ্য কিনছেন।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, শুধু জিরাই নয়; হলুদ, মরিচ, ধনিয়াসহ প্রায় সব ধরনের মসলা গুঁড়ো হয়ে প্যাকেটে ঢুকলেই দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেড়ে যাচ্ছে। ৫০ গ্রাম জিরার গুঁড়োর একটি প্যাকেটের দাম ৫০ টাকা হলেও, একই কোম্পানির এক কেজির প্যাকেটের দাম পড়ছে ১৫০০ টাকা। ভোক্তারা প্রশ্ন তুলেছেন, একই পণ্য মোড়কজাত হলে দামের এত পার্থক্য কেন?
এর জবাবে কোম্পানিগুলো বলছে, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণের খরচের কারণেই দাম বাড়ে। এসিআই কনজ্যুমারের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলমগীর এই ব্যয়ের বিষয়টিকে সামনে এনেছেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকীর মতে, কোম্পানিগুলো পাইকারি দরে অনেক কম দামে এসব মসলা কিনে মোড়কজাত করে। বাড়তি দামে সবসময় খুব মানসম্মত পণ্য পাওয়া যায়, এমনটাও নয়। ভোক্তা এবং বিশ্লেষকরা মসলার বাজারে এই শুভঙ্করের ফাঁকি উন্মোচনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
ডিবিসি/আরএসএল