দিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের জীবনযাপনে। তার ওপর আছে আমাদের গরম আবহাওয়া। প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল অবস্থা।
বাসার বাইরেতো গরম আছেই কিন্তু বাসার ভিতরেও গরমে থাকা যাচ্ছে না। এই গরমে আরাম পেতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকি আমরা।
এই গরমের দিনে অনেকেরই একমাত্র ভরসা এসি এবং ফ্যান। তবে অনেক সময় ধরে একটানা চলতে থাকলে এই যন্ত্র গুলোতেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। তার উপর লোডশেডিং তো আছেই। তাই এমন পরিস্থিতিতে ঘর ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে যা করবেন-
এসির যত্ন নেয়া
শীতকালের পর যখন আমরা আবার গরমের দিন এসি ব্যবহার করি, তখন মাঝে বেশি একটি দীর্ঘ সময় এসি বন্ধ থাকে। যখন পুনরায় এসি ব্যবহার শুরু করবেন তার আগে এসি সার্ভিস করে নেয়া প্রয়োজন। শুধু তাই না ব্যবহারকালীন বেশি সময় একটানা এসি না চালিয়ে বিরতি দিয়ে চালানো ভালো।
ভারী পর্দা ব্যবহার করুন
ঘরের জানলায় অনেক সময়েই হালকা রঙের পাতলা পর্দা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু গরমকালে এগুলি বেমানান। ঘরে রোদ আটকানোর জন্য ভারী পর্দা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিংবা জানলায় শৌখিন মাদুরের পর্দাও রাখতে পারেন। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। দুপুর থেকেই বাড়ির জানলা বন্ধ করে দেবেন। না হলে রোদ ঢুকে ঘর বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে।
ঘরে হাওয়া-বাতাস ঢুকতে দিন
বিকেলের পর থেকে বাইরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। তখনও সব জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখেন, তা হলে আপনার ঘর আরও বেশি গরম হয়ে উঠবে। তাই সন্ধ্যার পর জানলা, দরজা খুলে রাখুন। ঘরে হাওয়া-বাতাস খেলতে দিন। একটু পরে এমনিতেই ঘর ঠান্ডা হয়ে আসবে।
ফ্যানের যত্ন
সিলিং ফ্যান ঘুরলে হাওয়া পাওয়ার বদলে মনে হচ্ছে যেন আরও বেশি ঘর গরম হয়ে উঠছে? হতে পারে ফ্যান অপরিষ্কার হয়ে রয়েছে। ঝুল পরিষ্কার করে দেখুন, কোনও পার্থক্য হচ্ছে কি না। অনেক সময়ে ফ্যান অপরিষ্কার থাকলে হাওয়া পাওয়া যায় না। তেমন হলে দেখে ফ্যানে ধুলো-ময়লা জমে আছে কি না, তা এক বার যাচাই করে নিন।
সাদা চাদর
সাদা বা হালকা রঙের সুতির কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। বিছানার চাদর মোটা হলে ঘাম বেশি হয়। সাদা ও হালকা রঙের উপাদান তাপ শোষণ করে না, বরং প্রতিফলিত করে।
পানি দিয়ে ঘর ঠান্ডা
এটা দারুণ কৌশল। ৩-৪ বালতি পানি নিয়ে জানলার নিচে রাখতে হবে। তাতে পর্দার নিচের অংশটা ডুবিয়ে দিয়ে চালিয়ে দিতে হবে ফ্যান। ফল ধীরে ধীরে ফ্যাব্রিকের মধ্যে দিয়ে উপরের দিকে যায়। তার মধ্যে দিয়ে বাতাস এসে গোটা ঘর ঠান্ডা করবে।