সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে। তিন শ্রেণির চতুষ্পদ জন্তু দিয়ে কোরবানি করা যায়। যেমন ১) ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। ২) গরু, মহিষ। ৩) উট। তবে এসব পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা আছে।
এসব পশুদের মধ্যে উটের বয়স পাঁচ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষের বয়স দুই বছর হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ।
এক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস বয়সের হতে হবে। উল্লেখ্য, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই তা দ্বারা কোরবানি জায়েজ হবে না। (ফতোয়া কাজিখান: ৩/৩৪৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৫-২০৬) কোরবানির পশুর বয়স।
ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা দ্বারা কোরবানি দিলে একা দিতে হবে (মুসলিম: ১৩১৮; কাজিখান: ৩/৩৪৯)। গরু-মহিষ ও উটের ক্ষেত্রে একটি প্রাণীতে সর্বাধিক সাতজন অংশীদার হতে পারেন, চাই একই পরিবারের সদস্য হোক বা একাধিক পরিবারের। (নুখাবুল আফকার: ১২/৫৩২, মিরকাত: ৩/১০৮০)।
গরুর বয়স দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পরও দাঁত না উঠলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। কেননা গরু কোরবানির উপযুক্ত হওয়ার জন্য দুই বছর পূর্ণ হওয়া জরুরি। বিশেষ দাঁত উঠা জরুরি নয়। এক্ষেত্রে বিশেষ দুটি দাঁত দুই বছর বয়স পূর্ণ হলেই উঠে থাকে তাই সাধারণত দুই দাঁত উঠাকে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আলামত মনে করা হয়।
এ কারণেই মানুষ কোরবানির পশু কিনতে গেলে তা পরীক্ষা করে। এতে আপত্তির কিছু নেই। তবে যদি কোনো গরুর ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, দুই বছর পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু এখনও বিশেষ দুটি দাঁত উঠেনি তাহলে সেই গরু দ্বারা কোরবানি সহিহ হবে। (সহিহ মুসলিম: ২/১৫৫; বাজলুল মাজহুদ: ১৩/১৮; ফতোয়ায়ে খানিয়া: ৩/৩৪৮; ইমদাদুল ফতোয়া: ৩/৬১১-১৩)।