বাংলাদেশ, কৃষি

গরু-মহিষের খামার গড়ে সফল কিশোরগঞ্জের এরশাদউদ্দিন

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৫ই জুন ২০২১ ০৭:০৩:১১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কোরবানির জন্য সুস্থ, সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান পশুর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বিষয়টি মাথায় রেখে গরু-মহিষের বিশাল খামার গড়ে তুলেছেন কিশোরগঞ্জের মোহাম্মদ এরশাদউদ্দিন।

মাত্র ২০টি দিয়ে শুরু হলেও, বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ২শ' ৫০টি গরু-মহিষ। কোরবানির পশু কিনতে এরই মধ্যে দূর-দূরান্তের লোকজন ভিড় করছেন। এবার কোটি টাকা মুনাফার আশা করছেন খামার মালিক।

এরশাদউদ্দিন, ব্যবসা করতেন রাজধানীতে। করোনার মন্দায় চলে যান গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে। ২০টি গরু দিয়ে শুরু করেন মোটাতাজা প্রকল্প। সাফল্য পেয়ে বেড়ে যায় উৎসাহ। বর্তমানে পরিণত হয়েছে বাণিজ্যিক খামারে।

ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা পশুর মাংস, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ভুট্টা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি খাবার দেওয়া হয় গরু-মহিষকে। কৃষকদের কাছ থেকে গাছসহ ভুট্টা কিনে খামারেই বানানো হয় এ পশুখাদ্য। খরচও অনেক কম।

এরশাদের খামারে ১৫০টি ষাঁড়, ৪০টি মহিষ ও ৬০টি গাভী রয়েছে। দেশি জাত ছাড়াও ব্রাহামা, শাহীওয়াল, হারিয়ানা, গয়াল, নেপালি, ইন্ডিয়ান বইলসহ বিদেশি জাতের ষাঁড় রয়েছে।

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে তিন-চার কোটি টাকার পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন খামার মালিক। জেসি এগ্রো উদ্যোক্তা মোহাম্মদ এরশাদউদ্দিন বলনে,'প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গুরু মোটাতাজা করা যায়। সেই লক্ষ্যে আমি আগামী কোরবানীর ঈদে ক্যামিকেল মুক্ত খাবারের মাধ্যমে আমি কাস্টমারের কাছে গরু উপহার দিবো।'

অর্গানিক পদ্ধতিতে দেশীয় শংকর জাতের গরু-মহিষ লালন-পালন লাভজনক এবং স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে জানান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন,'চাহিদার তুলনায় কিশোরগঞ্জে গবাদী প্রাণি মোটাতাজা করণের সংখ্যা অনেক বেশি। এই জেলার চাহিদা পুরন করে আমরা পাশ্ববর্তি জেলাতেও সরবরাহ করতে পারবো।'

এরশাদউদ্দিনের খামার দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অনেকেই, আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভুট্টাচাষেও।

আরও পড়ুন