১৯৯৮ সালের এইদিন পহেলা বৈশাখ উদযাপনে গাইবান্ধায় বিষাক্ত মদপান করে ৭১ জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও শতাধিক ব্যক্তি।
মর্মান্তিক এ ঘটনার ২৩ বছর পরও এখনও কমেনি মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য। গড ফাদারদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে চলছে নানা নামে মাদকের রমরমা কারবার।
সে সময় নববর্ষ উদযাপনে শহরের সুইপার কলোনী ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকান থেকে কেনা বিষাক্ত মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ। এরপর আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যুর খবর। সরকারিভাবে ৭১ জনের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়। যদিও অনেকের দাবি, মৃতের সংখ্যা ছিল আরও বেশি।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা হলেও তদন্ত শেষে ১৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। ঘটনার পর পরই ভারতে পালিয়ে যায় দুই আসামি রবীন্দ্রনাথ সরকার ও মৃনালকান্তি। সাক্ষীর অভাবে অগ্রগতি নেই মামলাটির।
এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও জেলার মাদক ব্যবসায়ীরা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। মাদকের ভয়াবহ ছোবলে নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি'র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ বলেন, 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ তো হয়ই নাই বরং সারা জেলাতেই এই ব্যবসা হচ্ছে। অনেক মানুষ এগুলোর সঙ্গে জড়িত, যাদের নাম প্রকাশ করার মতো নয়। এই বিষয়ে প্রশাসন সব সময়ই নির্বিকার থাকে।'
এবার করোনার সময় নববর্ষ উদযাপনের সুযোগ না থাকলেও মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনী তৎপর উল্লেখ করে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'ভেজাল জাতীয় পানীয় যেন কেউ তৈরি করতে না পারে, একই সাথে মানুষ যাতে সেগুলো খেয়ে মারা না যায় সে বিষয়ে আমাদের পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।'
মাদক নিয়ে কোনও ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি গাইবান্ধাবাসীর।