শনিবার (২২শে নভেম্বর) গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া এই তথ্য হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে নতুন করে পরীক্ষার মুখে ফেলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও চিকিৎসকদের সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, হামলার শুরু হয় ঘনবসতিপূর্ণ রিমাল এলাকায় একটি গাড়ির ওপর আঘাত হানার মধ্য দিয়ে। এতে গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং ৫ জন নিহত হন। এর পরপরই মধ্য গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহর ও নুসেইরাত ক্যাম্পে দুটি পৃথক বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন। পরবর্তীতে পশ্চিম গাজা সিটিতে একটি বাড়িতে চালানো হামলায় আরও ৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। সব মিলিয়ে একদিনের হামলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে অন্তত ২০ জনে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশের রাস্তা ব্যবহার করে এক বন্দুকধারী ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করায় তারা এই হামলা চালিয়েছে। একে তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
অন্যদিকে, হামাসের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং ‘মানুষ হত্যার অজুহাত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই ‘ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘন’ মোকাবিলা করার দায়িত্ব এখন মধ্যস্থতাকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের।
উল্লেখ্য, গত ১০ই অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে সহিংসতা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি থামেনি। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩১৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি অভিযানে ৬৯,৭০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ডিবিসি/এনএসএফ