ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত একদিনে ৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। এতে করে মার্চে যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নিহতের সংখ্যা দাড়াল প্রায় দুই হাজারে। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার।
শুক্রবার (২৫শে এপ্রিল) আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলার ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ১২ জন সদস্য আছে।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এবং চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়ার একই পরিবারের ১২ জন সদস্য রয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্চে স্বাধীনতাকামী স্বশস্ত্র সংগঠন হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১,৯৭৮ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫,২০৭ জন আহত হয়েছেন। গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১,৩৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,১৭,২৪৮ জন আহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১,১৩৯ জন নিহত হয়েছিল। ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দী করেছিল গোষ্ঠীটি।
তারপর থেকেই ইসরায়েল অমানবিক আক্রমণ শুরু করে গাজায়, যাতে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয় নিরীহ সাধারন মানুষ। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি নারী-শিশুও। বর্বর এই হামলা বন্ধে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে কোনো কার্যকর উদ্যোগ কাজে দেয়নি, যার ফলে গাজাবাসীর জীবনে দিনকে দিন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল মানবিক সহায়তার পথ বন্ধ করে দেয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। ফলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে গাজার অসহায় নারী, শিশু আর বৃদ্ধরা।
ডিবিসি/নাসিফ