গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র চাপের মুখে পড়েছে ইসরায়েল। ২০ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ অবসানের কোনো লক্ষণ দেখা না গেলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক তৎপরতা এবং দেশের অভ্যন্তরে বাড়তে থাকা অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়েছে।
একদিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্য তার মন্ত্রিসভা এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এই সংকটময় মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চাপ আসছে ওয়াশিংটন থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদনের জন্য সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এর আগে মন্তব্য করেছিলেন যে, ইসরায়েলের উচিত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে গাজায় তাদের অভিযান শেষ করা। একই সাথে তিনি নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার সমালোচনা করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার সমর্থনও ব্যক্ত করেছেন, যা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের ভেতরেও চাপ বাড়ছে। ২০ মাস পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্য (হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের উদ্ধার) পূরণ না হওয়ায় নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। জিম্মিদের পরিবারগুলো বিক্ষোভ করছে এবং সরকারের উপর একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন যে, মধ্যস্থতাকারীরা একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য পর্দার আড়ালে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে এর অর্থ যুদ্ধের সমাপ্তি নয়। তিনি যুদ্ধ স্থায়ীভাবে শেষ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে বলে অস্বীকার করেছেন।
তথ্যসূত্র আল জাজিরা।
ডিবিসি/এমইউএ