গাজায় শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউনিসেফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ১৩ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের এই দুই সংস্থার পাশাপাশি ইউএনআরডব্লিউএ, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট 'গ্যাভি' এই উদ্যোগে অংশ নেয়। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত ৯ই নভেম্বর থেকে ২০শে নভেম্বর পর্যন্ত এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, টিকা গ্রহণকারী শিশুদের এক-চতুর্থাংশ আগেই তাদের নিয়মিত টিকাদান শুরু করেছিল, কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও যুদ্ধের কারণে মাঝপথে তাদের টিকা গ্রহণ ব্যাহত হয়।
সংস্থাগুলো আরও সতর্ক করে বলেছে, শীতের আগমনে গাজার জীবনযাত্রার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে টিকাদান কর্মসূচির পরবর্তী ধাপগুলো দ্রুত শুরু করার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। তারা উল্লেখ করেছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই উপত্যকায় স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা এখনও অপরিসীম এবং জরুরি।
টিকাদানের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে শিশুদের পুষ্টির অবস্থাও যাচাই করা হয়েছে। মোট ৬ হাজার ৮২৭ জন শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ৫০৮ জন শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত এসব শিশুকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিবিসি/আরএসএল