সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় মানবিক সাহায্যের পরিমাণ বেড়েছে। এর ফলে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের জীবনে কী প্রভাব পড়তে পারে, সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন দেড় বছর হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলি জিম্মি ইয়ার হর্ন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, যখনই গাজায় সাহায্যের পরিমাণ বাড়ত, তখনই তাদের খাবারের পরিমাণও বাড়ত।
৪৬ বছর বয়সী হর্ন বলেন, “যখন খাবার কম থাকে, তখন জিম্মিদের জন্যও খাবার কম থাকে। যখন সাহায্য আসে, তখন হয়তো একটি শসাও পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর হামাসের হামলার সময় হর্নকে তার ওজ কিববুতজের বাড়ি থেকে আরও ২৫১ জনের সঙ্গে জিম্মি করা হয়। তিনি ৪৯৮ দিন বন্দি থাকার পর ১৫ই ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। তার বন্দী থাকার বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গের সেলে, যেখানে তার ছোট ভাই এইতান হর্ন (৩৮) সহ আরও কয়েকজন জিম্মি ছিলেন।
ইয়ার হর্ন বলেন, “আমি কোনো রাজনীতিবিদ নই এবং আমি এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না কারণ আমি সেগুলো বুঝি না। আমি যা বুঝি তা খুবই সহজ: আমি আমার ভাইকে ফিরে পেতে চাই। আমার জীবন এখন থমকে আছে। আমি এমন একটি দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছি, যেখানে প্রতিদিন আমাকে নতুন করে অপহরণ করা হচ্ছে।”
ইয়ার হর্নের এই বক্তব্য'র অর্থ হলো মানবিক সাহায্য শুধুমাত্র গাজার সাধারণ মানুষের জন্যই নয়, বরং হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যখন সাহায্য আসে, তখন জিম্মিদেরও সেগুলোর কিছু অংশ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তার কথায়, জিম্মিদের জীবন এবং পরিবারের সদস্যদের আকাঙ্ক্ষাগুলো রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তার একমাত্র চাওয়া তার ভাইকে নিরাপদে ফিরে পাওয়া।
সূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল
ডিবিসি/এমএআর